এগিয়ে যাচ্ছে সময়। এগোচ্ছে মানবসভ্যতার। সংস্কৃতি থেকে প্রযুক্তিগত দিক পর্যন্ত কালের বিবর্তনে পরিবর্তন হচ্ছে সব কিছুরই। বর্তমান বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মানবসভ্যতা। কিন্তু সব কিছুর উন্নতি হলেও মানুষের দৈহিক রোগ কিন্তু পিছু ছাড়ছে না। আরে দৈহিক রোগ গুলি বর্তমানে মানুষ্য জাতির অগ্রসর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আরে এই দৈহিক সমস্যাগুলো নির্ভর করে আমাদের সম্পর্ক, কাজকর্ম ও সামাজিক মেলামেশার উপরে। আজ আমরা এরকম একটি রোগ সম্পর্কে আলোচনা করব। যার নাম অ্যাসপারগার সিনড্রোম। অস্ট্রিয়া শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হ্যান্স অ্যাসপারগার এর নাম অনুসারে লক্ষন সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।
রোগের কারণ:
এ রোগের এখনো পর্যন্ত প্রকৃত কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে মেয়েদের থেকে পুরুষদের এই রোগটি বেশি লক্ষ্য করা যায়। প্রাথমিক ভাবে বলা যায়:
১) পরিবেশগত জিনগত ও পরিবার গত কারণে এগুলো বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।
২) গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত নেশা করা বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার সম্মুখীন হওয়া বা ভাইরাস ঘটিত রোগের আক্রান্ত হওয়ার কারণে এ রোগটি হতে পারে।
৩) সেবন করা কিছু জাতীয় ঔষধ থেকে রোগটি দেখা যায়।
৪) বিলম্বিত গর্ভধারণের জন্যেও শিশুদের অ্যাসপারগার সিনড্রোম হওয়ার বিপদ বেড়ে যায়।
লক্ষণ:
এর রোগে যে লক্ষণগুলি দেখা বোঝা যায় কোনো শিশু বা ব্যক্তির অ্যাসপারগার হলে সেগুলো লক্ষ্য করা যায়:
১)বিশেষ করে জন্মের পর প্রথম বছরে এই রোগটি শিশুদের দেখা যায় এবং এটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সঠিকভাবে প্রত্যাশিত সামাজিক আচরণ করতে এরা ব্যর্থ হয়। অন্যের মনের অবস্থা এরা বুঝতে পারেনা।
২) অসাভাবিক কথাবাত্রা বলা ও কোন কিছুর প্রতি নিবিড়ভাবে আগ্রহের অভাব।
৩) কোন একটি জিনিস সম্পর্কে বোঝানোর জন্য এরা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বর্ণনা প্রদান করে থাকে।
৪)চোখ বা মুখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে চায় না অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলার প্রবণতা বেশি।
৫)একই ধরনের কাজ বারবার করতে চাই এবং কোন কাজে বাধা দিলেন সেই কাজটি তারা বেশি করতে চাই।
চিকিৎসা:
এ রোগে তেমন কোন ঔষধগত চিকিৎসা নেই। তবে এই রোগের উদ্বিগ্নতা কমানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। দৈনিক সকল ধরনের ভিটামিন যুক্ত খাবার এবং মৎস্য তেল খাওয়াতে হবে। এছাড়া আকুপাংচার স্পিচ থেরাপি মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো যায় মিউজিক থেরাপি মাধ্যমে এই প্রবণতা দূর করা হয়।