Home / নিউজ / আশুরার রোজার ফজিলত
আরাফার রোজার ফজিলত

আশুরার রোজার ফজিলত

আশুরার রোজা রাখুন সোম-মঙ্গল বা মঙ্গল-বুধবার

রাসূল (সাঃ) বলেন “রমাদানের পর রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে উত্তম মাস হচ্ছে ‘শাহরুল্লাহিল মুহাররম'”
আরবিতে শাহরুন অর্থ হচ্ছে মাস। আর ‘শাহরুল্লাহ” অর্থ হচ্ছে “আল্লাহর মাস”। শুধু মাত্র মুহাররম মাসকেই আল্লাহর মাস হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
হযরত ওমর (রা) যখন হিজরি ক্যালেন্ডার চালু করেন তখন কোন মাসকে বছরের প্রথম মাস রাখা হবে সেটা নিয়ে সাহাবিগণ চিন্তা করছিলেন। অতপর এই মাসের মর্যাদার জন্য এই মাসকেই বছরের প্রথম মাস হিসাবে নির্ধারণ করা হয়।

এই মাসের বিষয়ে লক্ষ্যনীয় কয়েকটি বিষয়ঃ
# এই মাস জুড়ে আমাদের উচিত সাধ্য মত রোজা রাখা

# মুহাররমের ১০ তারিখ অন্তত রোজা রাখা। কেননা এই দিনে মূসা (আ) ও তার জাতি ফেরআউনের জুলুম থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তাই ইহুদীরা এই দিনে রোজা রাখে। রাসূল (সা) বলেন আমরা মূসার অনুসরণ করার ক্ষেত্রে ইহুদীদের চেয়ে বেশি হক্বদার। তাই তিনি এই দিনে নিজে রোজা রেখেছেন এবং সাহাবিদেরকেও রোজা রাখতে উৎসাহ দিয়েছেন। একই সাথে ইহুদীদের সাথে আমলের পার্থক্য করার জন্য তিনি বলেন “আগামী বছর বেঁচে থাকলে আমি ৯ ও ১০ মুহাররম উভয় দিনই রোজা রাখব।” কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় পরের বছর মুহাররম আসার আগেই রাসূলের (সা) মৃত্যু হয়। তাই আমাদেরও উচিত মুহাররমের ৯ ও ১০ তারিখ রোজা রাখা। এ বছর ৯ সেপ্টম্বর হচ্ছে মুহাররমের ৯ তারিখ। তাই আমরা যারা রোজা রাখব তারা সেপ্টেম্বরের ৯-১০ বা ১০-১১ তারিখে রোজা রাখতে পারি

# হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বলেন “রাসূলকে (সাঃ) রোজা রাখার ব্যাপারে এতটা কনসার্ন আর কখনো দেখিনি যতটা দেখেছি আশুরার দিন ও মুহাররম মাসে রোজা রাখার ব্যাপারে”

# আল্লাহর রাসূল (সা) আশুরার রোজার ব্যাপারে বলেন “এই রোজার বিষয়ে আমি আশা করি এর দ্বারা আগের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে”

# হিজরি প্রথম বছরে আশুরার দিন রোজা রাখা ফরজ ছিল। হিজরি ২য় বছর রমাদানের রোজাকে ফরজ করা হয় এবং আশুরার রোজাকে করা হয় optional but recommend

# মুহাররম মাসের মর্যাদা ও পবিত্রতা রাসূল (সা) বর্ণনা করে গেছেন। এর পবিত্রতা ও এর মর্যাদা রাসূলের (সা) জীবদ্দশাতেই আমরা পেয়েছি। কিন্তু পরবর্তীতে কারবালার প্রান্তরে হুসাইন (রা) ও তার পরিবারের মর্মান্তিক মৃত্যুর যে ঘটনা সেটা কাকতালীয় মাত্র। এই ঘটনা আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। কিন্তু সেই কষ্টের জন্য তাজিয়া মিছিল করা, নিজের শরীর কেটে রক্ত বের করা ইত্যাদি অত্যন্ত গর্হিত বিদআত। এগুলো সাহাবি, তাবেয়ীন ও তাবে-তাবেয়ীন দ্বারা প্রমাণিত কোনো আমল নয়। এগুলো মনগড়া বিদআত। তাজিয়া মিছিলগুলোকে নানা রকম শিরক ও বিদআতের চরম দৃষ্টান্তগুলো দেখা যায়। আল্লাহ এগুলো থেকে আমাদের হেফাজত করুন

Check Also

জেনে নিন কুরবানি করার নিয়ম এবং কুরবানি করতে না পারলে করণীয়।

কোরবানি কার উপর ওয়াজিব প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী—যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ …

Show Buttons
Hide Buttons
Skip to toolbar