ভিন্ন ধরনের মাছ “কুঁচিয়া” পাল্টে দিতে পারে বেকার জীবন। কুঁচিয়া নাম শুনলেই হয়তোবা অনেকে চমকে উঠবে , আসলে কুঁচিয়া এক ধরনের মাছ। এ মাছ চাষ করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশ সহ ইউরোপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা দেশে এ মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কুঁচিয়ার ইংরেজি নাম(Asian swamp eel) একটি ইল প্রজাতির মাছ। এবং (Sybranchidae) পরিবারের অন্তরগত মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ( Monopterus cuchia)| । বাংলাদেশে ২০১২ সাল থেকে এটি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বর্তমানে বৈদেশিক আয়ের জন্যে এর কদর বেড়ে গেছে।
আরো পরুন : জিনস কিনতে
কুঁচিয়া থেকে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৩০ টি জেলার চাষীরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এবং বাণিজ্যিক ভাবে এটি চাষ হচ্ছে। মৎস অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মুক্ত জলাশয়ে উৎপাদন হয়েছে ৩৬ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরেএর পরিমান বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩ মেট্রিক টন ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রা আসে ১৮৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং পরের বছরে উৎপাদন বেশি হওয়ায় আয় হয় ২০৪ কোটি ১ লক্ষ টাকা।
এ মাছের ঔষধি গুণও প্রচুর। যারা অ্যাজমা, ডায়া বেটিস ও রক্তশূণ্যতায় ভূগছেন ,তাদের এসব রোগের নিয়ন্ত্রনে এ মাছের উপযোগিতা আছে । মৎস অধিদপ্তরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এ মাছের রক্ত খেলে শারীরিক দুর্বলতা ও রক্তশূণ্যতা কমে।
ছয় মাসে ২০ কেজি কুঁচিয়া থেকে ২০ হাজার পোনা উৎপাদন করা সম্ভব যার ওজন ৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে। ১ কেজি কুঁচিয়ার বাজার মূল্য ৩০০-৪০০ টাকা। চাষীরা মৌসুমে ২০ থেকে ১ লক্ষ টাকার কুঁচিয়া বিক্রি করছেন।
প্রকৃতিক পুকুর বা জলাশয়ে এবং বাড়ির আশে পাশে কংক্রিটের স্থাপনার মধ্যে বা ডিচ তৈরির মাধ্যমেও এ মাছ চাষ করা সম্ভব । যা খুবই সহজ লভ্য এবং কম খরচে করা যায়।