Home / স্বাস্থ্য বিষয়ক / নিজেকে সতেজ রাখতে ২০ টি খাবার নিয়মিত খান
নিজেকে সতেজ রাখতে ২০ টি খাবার নিয়মিত খান

নিজেকে সতেজ রাখতে ২০ টি খাবার নিয়মিত খান

নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা খুবই জরুরি। কিছু খাবার আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, আবার কিছু খাবার বিভিন্ন অসুখের জন্য ভাল। তবে এমন কিছু খাবারও আছে যা একসাথে খেলে উপকারিতা বেড়ে যায় অনেক গুণ।

1. কিসমিস:

কিসমিস it Worldbdকিসমিস আর কিছুই না, রোদে বা ড্রায়ারে শোকানো আঙুর। রঙ সোনালী কিংবা গাঢ় বাদামী। কিসমিস যেমন নানা ধরনের সুখাদ্যে রান্নার সময়ে দেওয়া হয়, তেমনি হেলথ টনিক বলুন বা হাই এনার্জি ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে। কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে পানিসহ খেয়ে নিন। এগুলো সারাদিন আপনার শরীরে শক্তি সঞ্চয় করবে। ফলে আপনিও থাকবেন সতেজ।

 

 

 

2. ডাল:

ডাল it world

আমরা সবাই কম-বেশি জানি যে ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যারা নিরামিশ খান, তাঁদের বেশী করে ডাল খেতে বলা হয়। আমিষ প্রোটিনের ঘাটতি ডাল অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু ডালে যে নানারকম ভিটামিন, ফসফরাস ইত্যাদি মিনারেলও থাকে। সারাদিন সতেজ রাখতে ডালও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সকালে নাস্তার সময় অর্ধ সিদ্ধ ডাল খেলে এটা শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে। এতে করে মানুষের কাজের স্পৃহা বেড়ে যায়। তাছাড়া দুপুরের খাবারের সঙ্গেও এটি খাওয়া যেতে পারে।

 

 

3. ডিম:

ডিম
ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে। শক্তি সঞ্চয়ের জন্য খাবার হিসেবে ডিম সবচেয়ে কার্যকরী খাবার। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে ডিম খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের শক্তি সঞ্চয় করে শরীরকে রাখবে সতেজ ও কর্মউদ্যোম।

 

 

4. আঁশযুক্ত খাবার:

আঁশযুক্ত খাবার it worldbd
সারাদিন সতেজ রাখতে আঁশ জাতীয় খাবার যেমন সয়াবিন, কর্ণ, শিম, অ্যাভোকাডো , বাদামী চাল , গমের রুটি, ব্রকোলি, কমলালেবু এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি খেতে পারেন। এগুলো আপনার শরীরের জন্য খুব উপকারী।

 

 

5. সবুজ চা:

সবুজ চা:

বুজ চা মেটাবলিসম বাড়িয়ে ফ্যাট বার্নে সহায়তা করে যা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ক্লান্তি দূর করার জন্য অনেকেই গরম কিছু পান করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে দুধ চা থেকে সবুজ চা পান করা বেশি উপকারী।সবুজ চায়ের লিকার দাঁতের ক্ষয় রোধ এবং মাড়িকে মজবুত করে।

 

 

 

6. পানি:

পানি

পানি পান করাটা যতটা জরুরি ঠিক ততটা জরুরি পরিমিত পরিমাণ পানি পান করা। পানি উপকারী বলে মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করাটাও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রতিদিন ২৪০ মিলিলিটার মাপের ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত, যা কিনা গড়ে দুই লিটারের মতো হতে পারে।শরীরকে সারাদিন সতেজ রাখতে পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। শরীরের যে কোনো সমস্যা সমাধানেও পানির কোনো বিকল্প নেই।

7. লেবু:

লেবু
শরীরের শক্তি সঞ্চয়ে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। গ্রীষ্মকালে চিনি, পানি ও পুদিনার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এ পানীয় শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

 

 

8. মিষ্টি আলু:

মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে; যা শরীরে শক্তির চাহিদা পূরণ করে। এটা রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে সারাদিন প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।

 

 

 

9. রসুন:

রসুন
প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটু রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ খাবারটি রক্ত পরিষ্কার করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

 

 

 

 

10. পেঁয়াজ:

পেঁয়াজ
দেহের বিষ মুক্তকরণে পুষ্টি বিজ্ঞান বলে পেঁয়াজে রয়েছে কার্মিনেটিভ, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিবায়োটিকজাতীয় পদার্থ। এসব উপাদান শরীর থেকে বিষ দূর করে দেয়। এ কারণে শরীরে কোথাও সংক্রমণ ঘটে থাকলে কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেলেই চটজলদি উপকার পাওয়া যাবে।প্রতিদিন দুপুরের খাবারে ছোট ৩-৪টি কাঁচা পেয়াজ খেলে শরীর সতেজ থাকে। এটা রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত চর্বি দূর করে।

 

 

11. জিরা:

জিরা
জিরা বীজ সিদ্ধ করে পানি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি পাচনতন্ত্রের জন্যও ভালো খাদ্য।গ্যাস্ট্রিকে সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে জিরা।রক্তকে বিশুদ্ধ করতে জিরার বিকল্প নেই। প্রতিদিনের খাবারে জিরার গুঁড়া দিলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক ভালো।

 

 

 

 

12. চিনি:

 চিনি
শরীরকে সতেজ রাখতে আখের চিনি থেকে পাম চিনি বেশি কার্যকরী। কারণ এতে কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। তাই সারাদিন সতেজ থাকতে এই খাবারটিও নিয়মিত খান।

 

 

13. স্যুপ:

স্যুপ
অপারেশনের পর, ঠান্ডা কিংবা শরীরে ব্যাথা থাকলে স্যুপ খেলে তা দ্রুত সেরে যায়। চিকেন স্যুপে থাকা আদা এবং মরিচ দ্রুত এ সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করে।

 

 

14. জাউ:

জাউ
পেট যন্ত্রণায় বা হজমের সমস্যা সমাধানে জাউ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। জাউ চাল, রসুন ও পেঁয়াজের মিশ্রণে তৈরি; যা সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে থাকে।

 

 

15. অলিভ অয়েল:

অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের রান্না খেলে শরীরে মেদ জমে না। এটা শরীরের রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর সতেজ থাকে।

 

 

16. মাশরুম:

মাশরুম
মাশরুমের স্যুপ দুধ চা এবং কফির বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়। এটাও শরীরকে সতেজ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

 

 

 

 

 

17. কলা:

কলা
কলা শক্তি সঞ্চয়ে কাজ করে। রাতে শোয়ার আগে কলা খেলে তা শরীরে শক্তি জমা করে রাখে। ফলে পরদিনও শরীর সতেজ থাকে।

 

 

 

18. মধু:

মধু
মধু শক্তির উৎস। প্রতিদিন গরম লেবুর জুসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে শরীর সতেজ এবং আরও প্রাণবন্ত হয়।

 

 

 

19. টমেটো:

টমেটো
ইনফর্টিলিটীর দ্বারা পীড়িত মানুষের মধ্যে লাইকোপিনের মাত্রা খুব কম থাকে। ক্যারেটোনাইট লাইকোপিন শুক্রাণুর সংখ্যা এবং কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। টমেটো এই ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জন্য খুব ভালো উত্স।

 

 

 

20. গাজর:

গাজর
গাজরে উপস্হিত ভিটামিন পুরুষদের স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং যৌন কার্যকলাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

Check Also

নিয়মিত হাটার ১০ টি ভালো দিক

১. সুস্থ হৃদপিণ্ড, সুন্দর জীবন যারা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন তাদের হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি …

Show Buttons
Hide Buttons
Skip to toolbar